হযরত শাহ্ সেকান্দর (রঃ) মাজার
কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তাড়াইল উপজেলার ৪.০০ কিলোমিটার উত্তরে ধলা ইউনিয়নের সেকান্দরনগর গ্রামে হযরত সুলতান শাহ্ সেকান্দর (রঃ) মাজার শরীফ রয়েছে। যতদূর জানা যায় এমহান সাধক সেকান্দর শাহ্ সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইসলাম প্রচারের জন্য উক্ত এলাকায় আগমন করেন এবং কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর চারিত্রের মহিমায় মুগ্ধ হয়ে অনেক লোক ইসলাম গ্রহণ করেন। তখনকার জঙ্গলবাড়ীর জনৈক দেওয়ান সেকান্দর শাহের অলৌকিক ক্ষমতা ও ঐশ্বী প্রেম মুগ্ধ হয়ে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার জমিদারীর হাজরাদিপরগণা ভেইয়ার ডিহির অংশের একটি গ্রামে পীরের বসতবাড়ী নির্মাণের অনুমতি দেন। আর এ থেকে সাধকের নাম অনুসারে গ্রামটির নাম করণ করা হয়; সেকান্দরনগর। এ সাধক সম্পর্কে অনেক অলৌকিক কাহিনী কিংবদন্তী ও জনশ্রুতি রয়েছে। তাঁর মাজার শরীফের উপর দিয়ে কোন পাখি উড়ে যায় নি। এমনকি দেখা যায় যে, পাখিরা ঝাক বেঁধে উড়ে যাওয়ার সময় মাজার শরীফের কাছে এসে দুইদিকে ভাগ হয়ে চলে যায়। তাঁর মাজার শরীফের উপর দিয়ে যায় না, এমনকি এ পর্যন্ত কোন পশু-পাখি মাজার শরীফ এলাকায় মল ত্যাগ করতে দেখা যায় না। এছাড়া বর্তমান কিশোরগঞ্জের পাবলিক লাইব্রেরীতে প্রকৃত কিংবদন্তী সম্ভলিত সেকান্দরী ডেগ, বদনা ও ঘটি সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে, এক ঘটি চাউল ও এক বদনা পানি উক্ত বৃহৎ ডেকে দিয়ে আগুন জ্বাল দেওয়ার পর যে খাবার তৈরী হতো তা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার-হাজার লোক খেয়ে শেষ করতে পারতো না। এ মাজারে বাৎসরিক কোন ওরস অনুষ্ঠিত হয় না। পাকিস্তান আমলে এ এলাকার লোকজন ওরস করতে চেয়েছিল কিন্তু দেখা গেল হঠাৎ ভীষণ ঝড় শুরু হয়ে ওরসের সমস্ত সামানা উড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে লোকজন ওরস করতে চায় না। ওনার মাজারের পশ্চিমপাশে বংশসরগণ বসবাস করেন। উনার বসতবাড়ীতে মুগল আমলের সপ্তাশ্চর্য্যের নির্মাণ হিসাবে একটি মসজিদ আছে। ইহা নির্মাণ কারুকার্য এখনো পর্যন্ত মানুষের হৃদয় কেড়ে নেয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS