ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাঃ নসিরুজিয়াল (নসরতগঞ্জের শাসকগণ ও শাসনকাল) সুজলা, সুফলা শস্য শ্যাম প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি ভাটীর কন্যা তাড়াইল। এর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পুরাকীর্তি ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং বাঙালী জাতির হাজার বছরের লোকায়িত ঐতিহ্য। নদী বিধৌত শস্য শ্যামল এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর অতীত ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল। ভৌগলিক অবস্থান এবং অতীতের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী স্বাক্ষর বহন করে প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকে এখানে জনবসতি ছিল। এ উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মৃতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলির ১৬০৫ সন থেকে বিভিন্ন সময়ে পর পর ০৩ টি প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পের ফলে ঐতিহ্য বিজড়িত স্থান, রাজ্য রাজধানী, লোকালয়, জনপদ নদ নদীর গতি ধারা নিশ্চিত হয়েছে। যেমন নসিরুজিয়ালের প্রশাসনিক কেন্দ্র, তাড়াইলের দুলালী ফুলেশ্বরী নদী ও কবিরাজ নারায়নের শিব মন্দির ইত্যাদি। আলাউদ্দিন হুসেন শাহ তার সুযোগ্য পুত্র নাসির উদ্দিন নসরতশাহকে বিজিত নিম্নকামরূপীয় অঞ্চলসহ ময়মনসিংহের শাসক নিযুক্ত করেছিলেন। ময়মনসিংহের উত্তর পূর্বাংশে তখনও কামরূপীয় সামন্ত রাজাদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পায়নি বলেই শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন বোধে কোন কোন ঐতিহাসিক এর মতে নসরতশাহ ময়মনসিংহ পূর্বাঞ্চলের দুর্গম জংগলাকীর্ণ হিজল তমালের ঘন সবুজের ঘেরা জলাভূমির অঞ্চল ভাটী এলাকা নসিরুজিয়াল পরগণার অধুনা জাওয়ারের অবস্থিত মোয়াজ্জমাবাদ নামে একটি আঞ্চলিক প্রশাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জাওয়ার আরবী শব্দ জোয়ার থেকে এসেছে এর অর্থ হল অঞ্চল। জোয়ার শব্দটির সাথে মোতাবার আরবী শব্দ সংযুক্ত করে এলাকাকে বলা হতো জোয়ার মোতাবার। মোতাবার অর্থ নির্ভরযোগ্য। জোয়ার মোতাবার অর্থ হলো নির্ভরযোগ্য অঞ্চল। কামরূপীয় রাজার অধীন উপজাতীয় সামন্ত শাসকদের দৌরাত্ম্য দমন এবং প্রতিহত করে নাসিরুজিয়াল পরগণার এ প্রশাসনিক কেন্দ্র থেকে নির্ভরতার সাথে শাসন পরিচালনা করা হতো বলে উল্লেখিত এ প্রশাসনিক কেন্দ্রকে জোয়ার মোতাবার এলাকা বলা হতো। ১৫১৯ সালে আলা উদ্দিন হুসেন শাহ এর মৃত্যু হলে তার সুযোগ্য পুত্র নুসরতশাহ, নাসির উদ্দিন আবুল মুজাফ্ফর নুসরতশাহ নাম নিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসে পিতার মত দক্ষতা দেখাতে পেরেছেন নুসরত শাহ। এ সময় প্রায় সমগ্র বিহার তাঁর অধীনে আসে।
এ যুগে প্রথম সম্রাট বাবর বাংলা অভিযানের জন্য সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। নুসরতশাহ প্রথমে বাবরের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। পরে যুদ্ধ শুরু হলে সন্ধি করে বাংলার সিংহাসনকে নিরাপদ রাখেন। পরবর্তীকালে এ সমস্ত অঞ্চল সমন্বয়ে যুবরাজ নসরতশাহের নামানুসারে নসিরুজিয়াল পরগনা গঠিত হয়। নসিরুজিয়াল পরগনার এক কালের সদর দপ্তর জাওয়ার মৌজায় অবস্থিত ছিল। নসিরুজিয়াল পরগণার থানেশ্বর ও বাদলা ছিল নাওয়ার মহলের অন্তর্ভূক্ত। নাওয়ার পার্শী শব্দ অর্থ হয় নৈ সংক্রান্ত। উল্লেখ্য যে, নাওয়ারী মহলের মৌজা থানেশ্বরে বাদলার নাওয়ারা মহল ইংরেজী ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের কালেক্টরেটে স্থানান্তরিত হয়। নৌঘাঁটি ছিল চৌগাংগার ধনু, বরনী, মগড়া ও নরসুন্দা নদীর সঙ্গম স্থলে। যার ফলে সমগ্র এলাকায় যোগাযোগ সহজে করা যেত। বর্তমান জাওয়ার বাজারে অর্ধ কিলোমিটার উত্তরে পশ্চিমে ছিল গজনিবাস বা হাতীশালা। বর্তমানে একে গজেন্দ্রপুর বলা হয়। গজনিকে আবার দালান বাড়ীও বলা হয়। গজেন্দ্রপুরের সিকি কিলোমিটার দক্ষিণে সেনা ছাউনি ছিল বলে শোনা যায়, সেই ছাউনি থেকে চাঁনপুর নাম হয়েছে। নসরতগঞ্জ (বর্তমানে জাওয়ার) বাজারের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত। বাজারে দক্ষিণ পার্শ্বে ছিল বিশাল আকৃতির, প্রকৃতির বৈচিত্রের শোভা মন্ডিত মাকরান নামে জলধি। অসংখ্য শাখা প্রশাখা বিস্তারিত গভীরতম জলাশয়। অথৈ জলরাজির কূলে পানি সহিষ্ণু তরু তমাল, হিজল আর কদম্বের বন। এখনও এটি মাকরান বিল নামে পরিচিত। মাকরান বিলের পূর্ব দিকে ছোট বড় অনেক খাল ও দ্বীপ আকৃতির ভূমি রয়েছে।
এ নসরতগঞ্জ বাজারটি সে সময় বিখ্যাত নৌ বন্দর হিসাবে খ্যাত ছিল। ১৯৩১ সালে নুসরতশাহ আততায়ীর হাতে নিহত হলে পরবর্তী সুলতান ছিলেন তাঁর পুত্র আলা উদ্দিন ফিরুজশাহ। নসরতশাহের ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহ ১৫৩৩ সালে ফিরুজশাহকে হত্যা করে বাংলার সিংহাসনে বসেন। ১৫৩৩ সালে রাহাতখান মোয়াজ্জেমের পুত্র নুরখান মোয়াজ্জম নাসিরুজিয়াল পরগণার জোয়ার মোতাবার (অধুনা জাওয়ারের) আঞ্চলিক শাসক হিসাবে নিযুক্ত হন। ১৫৩৪ খৃষ্টাব্দে সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহের অনুমতি ক্রমে মোয়াজ্জামাবাদ নামে সুপরিচিত পূর্ব জাওয়ারের স্বীয় হাবিলী বাড়ী সংলগ্ন একটি মসজিদ নির্মাণ ও একটি বিরাট দীঘি খনন করেছিলেন। চার শতাধিক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও নুরখান ইবনে রাহাত খান মোয়াজ্জমের নির্মিত সেই সুলতানী যুগের মসজিদের ভগ্নাবশেষ থেকে পাওয়া শিলা লিপি জাওয়ার জমিদার বাড়ীর মসজিদে সংযোগ করা হয়েছে। এ শিলালিপিতে আরবী ভাষায় উৎকীর্ণ রয়েছে নুরখান মোয়াজ্জম ইবনে রাহাত খান ছাল্লামাল্লাহু ফিজমানে গিয়াস উদ্দিন মাহমুদশাহ। অর্থ হল সুলতান গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনামলে রাহাত খানের পুত্র নুরখান মোয়াজ্জম এর প্রতি আল্লাহ তায়ালার শান্তি বর্ষিত হউক। রাহাতখানের পুত্র নুরখান মোয়াজ্জম ছিলেন সুলতান গিয়াস উদ্দিনের যুগে তারই সালতানাতের একজন উচ্চ পদস্থ রাজ কর্মচারী, বর্তমান জাওয়ার, ধলা ও কলুমা গ্রামের আফগানী খানদানের আদি পুরুষ রাহাতখান। অনেকের মতে সুলতান গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ইকলেমাকে রাহাত ইবনে নুরখানের সংগে বিবাহ দিয়ে ছিলেন। সুলতান গিয়াস উদ্দিন তার মেয়ের নামে পরগণার নাম দেন ইকলেমা মোয়াজ্জমাবদ।
রাজস্ব নির্ধারনের প্রবর্তিত ইউনিট সমূহের উপর ভিত্তি করেই ধীরে ধীরে পরগণা খেকে সরকারে, মুঘল আমলে সরকার থেকে চাকলায় এবং বৃটিশ আমলে চাকলা থেকে জেলায় রূপ লাভ করে। জাহাঙ্গীরনগর চাকলার অন্তর্ভুক্ত ছিল নসিরুজিয়াল পরগণা। নাসির জিয়াল প্রশাসনিক কেন্দ্রে কোন অস্তিত্ব আজ আর নেই। রাজ প্রসাদ, দালানকোঠা সবই ভূমিকম্পের করাল গ্রাসে বিলীন হয়েছে। স্মৃতি হিসাবে আছে প্রশাসন কেন্দ্রের দু’পাশে বিরাট আকৃতির দুটি পুকুর। যোগাযোগের জন্য অদূরে কলুমা গ্রামে যে স্থানটিকে ব্যবহার করা হত তা আজও ডাকের ক্ষেত নামে পরিচিত।
এ ডাকের ক্ষেত থেকে একটি মধ্যযুগীয় ঢাল এবং একটি অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যা বর্তমানে সংরক্ষিত রয়েছে ধলার আলী আখতার চৌধুরী সাহেবের কাছে। নসরতশাহের রণক্ষেত্র বর্তমানে জাওয়ার কওমী মাদ্রাসার দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে ঐ সময়ে এখানকার আদিবাসী গারো সামন্ত রাজাদের রণপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র। শুনা যায় গারো সামন্ত রাজারা দুই ভাই ছিলেন, একজনের নাম বিরি এবং অপর জনের নাম চঙ্গ। এখানে এসে হোসেনশাহের সহিত তাদের যুদ্ধ হয় এবং যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে তারা গারো পাহাড়ের দিকে কামরূপে চলে যায়। তাদের আপত্তির উপরই দুজনের নামানুসারে দু’টি মৌজার নাম রাখা হয় বিরি জাওয়ার এবং চঙ্গজাওয়ার।
বিরি অর্থ হলো-হুল এবং চঙ্গ অর্থ হল সবল। তাছাড়াও চঙ্গরা জাওয়ারের পশ্চিমে যে আটিতে বসবাস করত তা বর্তমানে ছনাটী নামে পরিচিত। আজ ও উপজাতীয়দের স্মৃতি বহন করছে অত্র এলাকার জনগণের মুখে প্রচলিত ভাষা থেকে যেমন, বিরি, চঙ্গ, বেইয়ারডিহি, বেইয়ার কোণা উপজাতীয়দের ভাষা থেকে। এখনও সমস্ত অঞ্চল পণ্যদ্রব্য বিশেষ করে মাছ, ফল ও অন্যান্য জিনিস কুড়িগন্ডা হিসাবে বিকি কিনি হয়ে থাকে যা উপজাতীয়দের প্রভাবেরই ফল। নসরতগঞ্জ বাজার (বর্তমানে জাওয়ার) সুলতান নসরতশাহের স্মৃতি আজও বহন করছে। ইহা ফুলেশ্বরী নদীর পূর্ব শাখার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রতিষ্ঠিত ছিল। কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ফুলেশ্বরী। যেখানে নদী ছিল, সেখানে বর্তমানে হাইস্কুল, জমিদার বাড়ী এবং বাজার ও লোকালয় পরিলক্ষিত। গজনী বা গজনীবাসে আর গজ নেই, নেই গজ পরিচালনার মাহুত। সেখানে বিরাট শান বাধানো পুকুরের ঘাটতি তার পূর্বের ঐতিহ্যে নীরব সাক্ষী হয়ে বিদ্যমান আছে। বর্তমানে এটি গজেন্দ্রপুর দালান বাড়ীর মাদ্রাসা হিসাবে চালু আছে। নসরতগঞ্জের বাজারের নৌ বন্দরে এখন আর নোঙর করেনা সওদাগরের সপ্তডিংগা মধুকর, পালতুলে ছুটে আসে না বণিকের দল।
বৈচিত্রময় মাকরান জলধির অস্তিত্ব আর নেই। বর্তমানে চৈত্রের রৌদ্র দাহনে তার বুক ফেটে চৌচির হয়ে যায়। এখন সেখানে রাখালেরা গরু চড়ার আর মাকরানের অতীত স্মৃতি স্মরণ করে মোহন বাঁশী বাজিয়ে গায় অতীত দিনের স্মৃতি। নসরতগঞ্জ বাজারটি্ শুধু নসরতশাহের স্মৃতি একমাত্র ধারক বাহক হিসাবে আজও বিদ্যমান আছে। লোকে এখন একে জাওয়ার বাজার বলে ডাকে। প্রতি সপ্তাহে রবিবারে গরু ছাগলের হাট বসে। গরু, ছাগল ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বহু দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আছে। গরু, ছাগল ক্রয় বিক্রয়ের পর সকলেই নিজ নিজ বাসস্থানে চলে যায় কিন্তু তারা কজনই বা জানে এ বাজারের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন। ধীরে ধীরে ভুলতে বসেছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। নসরতশাহর স্মৃতি বাজারটিকে আজও দুটি অশ্বথবৃক্ষ কালের সাক্ষী হয়ে বীরদর্পে মাথা উঁচু করে নসরতশাহের অতীত দিনের স্মৃতির কথা স্মরণ করে দিচ্ছে। কালের সাক্ষী এ জরাজীর্ণ বৃক্ষ দু’টিকে যত্ন সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করলে হয়ত আরও কয়েক বছর নসরতশাহের স্মৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখা যাবে।
স্মৃতি চিহ্ন :
১। প্রশাসন কেন্দ্রের পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে বৃহৎ দুইটি পুকুর যথা-শানে বাধা ঘাট এবং সাগরদীঘি। ২। ১৫৩৩ সনের রাহাত ইবনে নূর খান কর্তৃক স্থাপিত মসজিদের দুইটি শিলালিপির প্রস্তর খন্ড, যা পশ্চিম জাওয়ার জমিদার বাড়ীর মসজিদে রক্ষিত আছে। ৩। ১৫১৯ সনে নসরত শাহ কর্তৃক রোপিত নসরতগঞ্জ (জাওয়ার) বাজারে দুইটি বৃহৎ বটবৃক্ষ। উপজেলার ঐতিহ্য বাংলার সমতল ভূমিতে সর্পিল নদী বেষ্টনে পলল অঞ্চলের এক গভীর ঐতিহ্যের বিস্তৃত উর্বর ভূমি পূর্ব ময়মনসিংহ অঞ্চল।ব্রহ্মপুত্র নদের বন্ধন সূত্রে এবং স্রোতবাহিত পলি দিয়ে গড়ে উঠেছে এর গ্রামাঞ্চল। শাখা নদী ও উপ নদীর বেষ্টনে গড়ে উঠেছে সরল ভাগ্যান্বেষী, মৎস্যজীবী, শরণার্থী ও আদিবাসীদের মিশ্রিত জন সমাজ। ব্রহ্মপুত্রের পূর্বে এবং হাওড় অঞ্চলের পশ্চিম সংলগ্ন এক বিস্তৃত পলিবাহিত সমতল ভূমি, অধূনা খ্যাত ভাটি অঞ্চলের সিংহদ্বার যার পূর্বে- ইটনা উপজেলা, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ সদর, উত্তরে কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা, দক্ষিণে করিমগঞ্জ উপজেলা। এ বেষ্টনে প্রায় দুইশতাধিক বর্গ কিঃমিঃ অঞ্চল নিয়ে তাড়াইল উপজেলা -লোক ঐতিহ্য ও বীরত্বে ইতিহাস খ্যাত। মধ্যযুগে চন্দ্রাবতী, ঈশা খাঁ, মসলিন শিল্প, বংশীদাস এবং কুচরাজা ও তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত তাড়াইলেও সময়ের সাথে সাথে ঘটেছে পরিবর্তন। ফলে এক দিকে ভাব সংগীত, ভাষাণ গান আর গ্রাম্য পালা গানের যেমন পল্লী কবিরা রচনা করেছিলেন জীবন ঘনিষ্ট গীত ও গীতিকা। অন্যদিকে কৃষক আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ইত্যাদিতে তাড়াইলের বীর সন্তানেরা রেখেছেন অবদান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস