Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

নদ-নদী

 

ক্রমিক নংনদীর নামবর্ণনা
নরসুন্দা নদীনরসুন্দা নদী ব্রহ্মপুত্র হতে উৎপন্ন হয়ে হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া সীমানার মধ্যে দিয়ে কিশোরগঞ্জ হয়ে তাড়াইলের উপর দিয়ে চৌগাংগায় ধনু নদীতে মিলিত হয়েছে। তাড়াইল উপজেলার অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নদী। এ নদী পথেই পণ্য সামগ্রী নিয়ে চলাচল করে ব্যবসায়ীদের হরেক রংগের নৌকার বহর। এর তীরেই দামিহা বাজার অবস্থিত। তাড়াইলকে এই নদীর বন্দর বলা চলে। বর্তমানে শুকনা মৌসুমে এর নাব্যতা কমে যাওয়ার ফলে নৌকা চলাচলের বিঘ্ন দেখা দেয়। নদীগুলো পুনঃখনন করা হলে তাড়াইল ভাটী এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরে পরিণত হতে পারে। তাছাড়া নদীর গতিপথে অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণকারীদের উচ্ছেদ করে নদীর স্রোতো ধারা অব্যাহত রাখলে আবারও এই নদী মৎস্যকূল পূর্ণ হয়ে যাবে।
সূতি নদী 
বর্ণি নদীকিংবদন্তী আছে যে, বৃষ্টির দেবতা বরণ থেকে বারণী বা বরণী নামের উৎপত্তি হয়েছে। নেত্রকোণা জেলার ধানকুনিয়য়া গ্রামের নিকট থেকে ধলা কলুমা গ্রামের পূর্বদিকে তাড়াইল উপজেলায় প্রবেশ করেছে। তাড়াইল উপজেলার অংশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রবাহিত। তাড়াইলের পূর্ব প্রান্তে দক্ষিণদিকে প্রবাহিত হয়ে নরসুন্দার সহিত মিলিত হয়েছে। সারা বছর এর নাব্যতা থাকে। এর উভয় তীরে খিরা, ফুটি, তরমুজ, চিনা, কাউন, তিশি এবং বাদামের চাষ হয়ে থাকে। তাছাড়া বোয়াল, আইড়, গুছি, গন্যা ও পুটা মাছের জন্য এই নদী বিখ্যাত ছিল।
ফুলেশ্বরী নদী

ফুলেশ্বরী মদনের জালিয়া হাওড় হতে উৎপন্ন হয়ে তেউরিয়ার ভিতর দিয়ে ধলা গ্রামে পশ্চিম দিকে জাওয়ার, সেকান্দরনরগরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বোরগাঁও, ছনাটী, ইছাপশর, বিলাসীপাড়া, বেলংকা, হাছলা ও নগরকুলের ভিতর দিয়ে নরসুন্দা নদীতে মিলিত হয়েছে।

 

বাংলার মহিলা কবি চন্দ্রাবতী লিখেছেন "ধারা স্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়"। বাংলার প্রাচীনতম কবি নারায়ণ দেবের জন্মস্থান এই ফুলেশ্বরীর তীরে। তাছাড়া অনেক র্কীতিমান পুরুষের জন্মস্থান রয়েছে এই নদীর কূলে। কবি নারায়ণ দেবের স্মৃতি বিজড়িত ফুলেশ্বরীর সামান্যতম চিহ্ন বিরাজ করছে। জালিয়ার হাওড়ের সহিত এর গতিপথে ভূমি দস্যুরা মাছের চাষের বাঁধ দেয়ার ফলে গতিধারা ব্যাহত হয় যার ফলে মিঠা পানির মৎস্যকূল বর্তমানে ধ্বংসের পথে। এককালের জালিয়ার চিতল, পাংগাস এখন স্বপ্নের বস্তু। কিংবদন্তী আছে যে, এক ব্রাহ্মণ মেয়ের সোনার থালা ফুলেশ্বরী নদীতে হারিয়ে গেলে ব্রাহ্মণ কন্যার অভিশাপে ফুলেশ্বরী ফুলিয়া হয়ে যায়।

তাড়াইল উপজেলা সদর দপ্তরটি নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। এ উপজেলায় নরসুন্দা নদী, সূতি নদী, বেতাই নদী, বর্ণি নদী, ফুলেশ্বরী নদী আবহমান।