Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

 

 

জনাব মুজিবুল হক চুন্নুর জীবন বৃত্তান্তঃ

 

জনাব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু ১৯৫৪ সালে ১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার কাজলা মধ্যপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম প্রয়াত মুন্সী আব্দুল মালেক এবং মাতা প্রয়াত হারুননেসা।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু  ১৯৬০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন।  ১৯৭০ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পাশ করেন। ১৯৭২ সালে এইচ.এস.সি পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ১৯৭৯-৮০ সালে অনার্স ও ১৯৮০-৮১ সালে মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।

 

ছাত্র জীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৮০-৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮-৯০ সাল পর্যন্ত তিনি রেড ক্রিসেন্ট কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

 

মোঃ মুজিবুল হক চন্নু ছাত্র অবস্থায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮-৮০ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০-৮৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু সহকারী জজ (বিসিএস জুডিশিয়াল) হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। সমাজের সাধারন মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে চাকুরী ছেড়ে রাজনীতি শুরু করেন এবং পরবর্তীতে আইন পেশায় যোগ দেন।

তিনি ১৯৮৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-০৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থীকে এক লক্ষ নয় হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। ২০১৩ সালে তিনি চর্তুথবারের মত বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু ১৯৮৬-১৯৯০ সাল পর্যন্ত সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত এবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮-৯০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু ১৯৮৭-১৯৮৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ভুমি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর হতে ২০১৪ সালের ১২ইং জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী তারিখে তিনি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ঐক্যমতের সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু ব্যক্তিগত ও সরকারীভাবে ভারত, পাকিস্থান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, চীন, কানাডা, মিশর, উগান্ডা, ইথিওপিয়া, সুদান, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, দুবাই, থাইল্যান্ডসহ বহু দেশ সফর করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে আন্তর্জাতিক পালামেন্টারী ইউনিয়নের তিনটি  সম্মেলনে যথাক্রমে ইথিওপিয়া, উগান্ডা এবং কানাডায় অংশগ্রহন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসাবে ২০১৩ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন।

 

মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রীর নাম রোকসানা কাদের। তিনি একজন সরকারী চাকুরীজীবি (অতিরিক্ত সচিব)। মুজিবুল হক (চুন্নু) দুই সমত্মানের গর্বিত জনক। তাঁর বড় ছেলে মোঃ জিয়াউল হক নিলয় ব্যরিষ্টার এট’ল (লিংকন্স ইন, লন্ডন) এবং ছোট ছেলে ইসরারুল হক কানাডায় অধ্যয়নরত।